নম্বর ঠিক রেখে যেভাবে অপারেটর বদল করবেন

প্রযুক্তি ডেস্কঃ

গত নভেম্বরে লাইসেন্স পাওয়া বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার কনসোর্টিয়াম ইনফোজিলিয়ন বিডি-টেলিটেক এই সেবার জন্য ‘নম্বর পোর্টেবিলিটি ক্লিয়ারিং হাউজের’ কাজ করছে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, যেহেতু গ্রাহকের অপারেটর বদল হচ্ছে, সেহেতু তাকে নতুন অপারেটরের সিম তুলতে হবে।

>> গ্রাহক যে অপারেটরে যেতে চান, সেই অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে যেতে হবে। পুরনো অপারেটরের সচল সিমটি সঙ্গে নিতে হবে।

>> গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে এমএনপি সেবা নেওয়ার কথা জানালে সেখান থেকে পুরনো অপারেটরের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ করে পোর্টিংয়ের (এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটর যাওয়ার অনুরোধ) আবেদন করা হবে।

>> পুরনো অপারেটর ছাড়পত্র দিলে নম্বর পোর্টেবিলিটি ক্লিয়ারিং হাউজ নম্বর পোর্টিং করে দেবে।

>> পুরো বিষয়টি হবে অনলাইনে। ইলেকট্রনিক রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু থাকায় গ্রাককে অপারেটর বদলাতে ছবি আর জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাতে হবে না। আঙুলের ছাপ মিলে গেলেই তার তথ্য এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে স্থানান্তর হয়ে যাবে।

>> নতুন সিম পেতে একজন গ্রাহকের সময় লাগবে ৫ মিনিটের মত। তবে সিম সক্রিয় হতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা।

>> পোস্ট পেইড গ্রাহকের ক্ষেত্রে পুরনো অপারেটরের কাছে বকেয়া থাকলে তা পরিশোধ না করে অপরারেটর বদলানো যাবে না।

>> প্রিপেইড গ্রাহক নতুন অপারেটরের পোস্ট পেইডে বা পোস্ট পেইড গ্রাহক প্রিপেইডে যেতে পারবেন না।

>> পুরনো অপারেটরে অব্যবহৃত ব্যালেন্স বা ডেটা নতুন অপারেটরে স্থানান্তর হবে না। এ কারণে ব্যালেন্স শেষ করে তবেই এমএনপিতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

>> আবারও অপারেটর পরিবর্তন করতে হলে গ্রাহককে ৯০ দিন অপেক্ষা করতে হবে।

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমএনপি সেবা শুরুর ঘোষণা দেন।

বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিজুর রহমান সিদ্দিকী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আগের অপারেটরে কারও অব্যবহৃত ব্যালেন্স থাকলে তা দুই বছর পর্যন্ত পুরনো অপরেটরে জমা রাখার নিয়ম করা হচ্ছে।

দুই বছরের মধ্যে যদি কেউ আগের অপারেটরে ফিরে যান, তাহলে তিনি ওই ব্যালেন্স ব্যবহার করতে পারবেন। তা না হলে তা সরকারি কোষাগারে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা হবে।

বিটিআরসির হিসাবে, অগাস্ট মাস পর্যন্ত দেশে চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৫ কোটি ৪১ লাখ ৭৯ হাজার।

এর মধ্যে সাত কোটি ৭ লাখ ৯ হাজার গ্রাহক নিয়ে শীর্ষে রয়েছে গ্রামীণফোন। তাদের পরে রয়েছে রবি, তাদের গ্রাহক সংখ্যা চার কোটি ৬১ লাখ ৩২ হাজার। বাংলালিংকের গ্রাহক তিন কোটি ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার এবং রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা ৩৮ লাখ ৭৩ হাজার।

বর্তমানে বিশ্বের ৭২টি দেশে এমএনপি সেবা চালু আছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত ২০১১ সাল থেকে এবং পাকিস্তান ২০০৭ সাল থেকে এমএনপি সেবা দিচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *