জয় বাঁচতে চায়

জয় দাস, বয়স আর কতই হবে? ১৪ থেকে ১৫ বছর। ছোট্ট এই শিশুটি জন্ম থেকেই অন্তরের ক্ষত নিয়ে বড় হচ্ছে আর তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছে জীবনের পথ।

স্বভাবতই এই বয়সে স্কুল ব্যাগ নিয়ে তার দৌড় ঝাপ করার কথা ছিলো স্কুল মাঠ বা বারান্দায়। যখন তার বুকে থাকার কথা অবারিত স্বপ্নের রঙ্গিন মাঠ আর মাথায় থাকার কথা জটিল গণিতের সমাধানের চিন্তা তখন সে ছুটছে কোথায় জানেন?

তখন সে ছুটছে হাসপাতালের বারান্দায়-বারান্দায় আর ডাক্তারের চেম্বারে চেম্বারে। শুরুটা যে জয়ের কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম সেই জয় জন্ম থেকে একজন হৃদ রোগী। ২০০৯ সালেই ঢাকা হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে তার অপারেশন হবার কথা ছিলো কিন্তু তার বাবা বিজয় দাস কর্মজীবী হিসেবে একজন দিনমজুর হওয়ায় অর্থাভাবে সেই অপারেশন করানো সম্ভব হয়নি তখন।

কোনোরকমে চিকিৎসা চালিয়ে হৃদয়ে অসুখের ক্ষত নিয়েই মৃত্যুকে জয় করতে চেয়েছিলো কিন্তু তার এই জয় শরীরকে আর সাঁয় দিতে পারেনি। তার এই হৃদরোগ ঘাপটি মেরে থেকে এখন শেষ পর্যায়ে এসে আঘাত হেনেছে তার মস্তিষ্কে।

জয় এখন ভর্তি আছে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। ডাক্তার বলেছেন জয়ের একটা মেজর অপারেশন করাতে হবে যেটার জন্যে প্রয়োজন প্রায় লাখ সাতেক টাকা।

দিন এনে দিন খাওয়া বিজয় দাসের পক্ষে কোনোভাবেই এতো টাকা জোগাড় করা সম্ভব না কিন্তু বিজয় দাস চান তার ছেলে জয় বাঁচুক। আর একারণেই বিজয় দাস সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন ছেলে জয়ের অপারেশন ও চিকিৎসাবাবদ।

বিজয় দাস বলেছেন আমি চাই আমার ছেলে বাঁচুক, হাসুক, খেলুক। আমার স্বামর্থ্য নেই তবুও চাই আমার ছেলে বাঁচুক আর এটা সমাজের বিত্তবানরা সবাই চাইলেই সম্ভব। আমি চাইনা বাবা হয়ে আমি আমার ছেলেকে চিতায় জ্বলতে দেখি। আমার ছেলেকে বাঁচাতে আপনারা আর্থিকভাবে সহায়তা করুন।

বিকাশে আর্থিক সহায়তা ও সরাসরি কথা বলতে যোগাযোগ করুন ০১৮৩৩৬৪৪৪২২ এই নাম্বারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *