খানসামার আব্বাস হলি আর্টিজান হামলার আসামী দিনাজপুর থেকে আটক

অপরাধ ডেস্কঃ

দিনাজপুরে বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি, বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৩ জন জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সবাই ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজানসহ বিভিন্ন জঙ্গি হামলার আসামি।

গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১টার দিকে দিনাজপুরের রাজবাটি সুখসাগর দিঘীর পূর্বপাড় থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার পূর্ব বাসুলিয়া গ্রামের মৃত. ওসমান আলীর ছেলে আব্বাস আলী (৭০), কাহারোল উপজেলার বলেয়া পূর্বপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রহমান ওরফে পিন্টু (৩০) ও নীলফামারী সদর উপজেলার কিত্তনিয়া পাড়া এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে আব্দুর রহমান ওরফে বাবু (২৩)।

তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, ৫ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, স্টিলের ধাতব, ইলেকট্রিক সার্কিট, ইলেকট্রিক ব্যাটারি, ইলেকট্রিক ও ধাতব তার, কাঁচের টুকরা, বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি, বিস্ফোরক ও জিহাদি কর্মসূচি সংক্রান্ত লিফলেট উদ্ধার করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংক্রান্ত মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার দুপুর ১২টায় দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানান পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজেম উদ্দিন আহমেদ, সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেদওয়ানুর রহিম, পরিদর্শক (অপারেশন) বজলুর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার রাজবাটী সুখসাগর দিঘীর পূর্বপাড় এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় নাশকতার পরিকল্পনা করাকালীন তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে আবদুর রহমান পিন্টু দিনাজপুরে ইতালীয় নাগরিক ডা. পিয়েরো পারোলারিকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা, কাহারোলের ইসকন মন্দিরে বোমা হামলার আসামি এবং আটক আব্বাস আলী ও আবদুর রহমান বাবু নীলফামারীতে জঙ্গি হামলার ঘটনার আসামি। একইসঙ্গে তারা ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার আসামি ও উত্তরবঙ্গের জেএমবি সামরিক কমান্ডার রাজিব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীরের সহযোগী।

পুলিশ সুপার জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হতে না পারে এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে এ দেশকে বর্হিবিশ্বের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করা যায় এমন পরিকল্পনা করছিল আটককৃত জঙ্গি সদস্যরা। জঙ্গি সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং ইতিমধ্যেই এসবের জন্য আদালা সেল গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম।

সুত্রঃ যুগান্তর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *