রেসিডেন্সিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজ প্রতারণার অপর নাম!

বীরগঞ্জ নিউজ২৪ ডেস্কঃ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারণা করে আসছে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান সুমন। রাজধানীর খিলক্ষেত থানার অন্তর্ভুক্ত নিকুঞ্জ-২ এর তিন নম্বর রোডের ৫ তলা ভবনের তিনটি ফ্লোর তিনি ভাড়া নিয়েছেন। গড়ে তুলেছেন রেসিডেন্সিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজ।

আজিজুর রহমান সুমন সাত বছরের চুক্তি করেন। বাড়ির মালিক জুলিয়া এহসানের সঙ্গে করা চুক্তি গত ১ জুলাই শেষ হয়। কিন্তু আজিজুর রহমান সেই বাসা থেকে উঠছেন না। শুধু তাই নয়, গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত তিনি কোনো ভাড়াও পরিশোধ করেননি। বাড়িওয়ালা জুলিয়া এহসান তার কাছে ভাড়া চাইতে গেলে আজিজুর রহমান সুমন উল্টো আদালতে গিয়ে বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে পিটিশন দেন। আদালত এটি খিলক্ষেত থানাকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেন। তদন্ত করে পুলিশও জানতে পারে আজিজুর রহমানের নানা কীর্তি। পুলিশ সেই প্রতিবেদন আদালতে পাঠায়।

পুলিশ জানায়, এই ব্যক্তির কাজ বাসা ভাড়া নেওয়া। সেখানে তিনি কলেজ বা হোস্টেল করেন। সময় সুযোগ মতো বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধেই নানাভাবে হেনস্তা করেন।

শুধু তাই নয় গভীর রাতে হোস্টেলে গিয়ে ছাত্রীদের ওপর নির্যাতন, শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে অর্থ আদায়ের অভিযোগও রয়েছে আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। দিন দিন বেড়েই চলেছে তার অপরাধ। সেই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। এবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তারই কলেজের পিয়ন মানিক মিয়া। বকেয়া বেতন চাওয়ায় মারধরের শিকার হতে হয়েছে তাকে।

মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) রেসিডেন্সিয়াল ল্যাবরেটরির কলেজে এ ঘটনা ঘটে। মানিক মিয়া দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর ধরে পিয়ন পোস্টে কাজ করে আসছেন এই কলেজে।

নির্যাতনের শিকার মানিক মিয়া বলেন, ‘চলতি বছরের আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৪ মাস ধরে আমাকে বেতন দেওয়া হয় না। তাই বাধ্য হয়ে কলেজের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের কাছে সরাসরি উপস্থিত হয়ে বেতনের কথা বলি। তিনি কোনো কথা না শুনেই উল্টো আমাকে মারতে শুরু করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।’

মানিক মিয়া আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিভাস ঘটক ও সহকারী শিক্ষক অপু উপস্থিত ছিল। তারা কেউই আমাকে বাঁচাতে আসেনি। পরে আমি খিলক্ষেত থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করি(জিডি নম্বর-১১৭৩)।’

এ বিষয়ে কলেজের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তোমরা যা শুনেছ, নিউজ করে দাও। মানিক বেয়াদবি করেছে তাই মার খেয়েছে।’

এই বিষয়ে খিলক্ষেত থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। খোঁজ নিচ্ছি।’

পরে মানিক মিয়ার কাছ থেকে ফোন নম্বর নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা নাহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে কোনো জিডি হয়নি বলে দাবি করেন। ওই সময় তার পদবী জানতে চাওয়া হলে উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন। তারপর একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *