নিজস্ব প্রতিবেদক
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার বাণীরবন্দরের লুৎফর রহমান একজন সব্যসাচী লেখক ও কবি। ছড়া, গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও ইতিহাস গবেষণা সব ক্ষেত্রেই তার অবাধ বিচরণ।
সম্প্রীতি লুৎফর রহমানের রচিত ইতিহাস গ্রন্থ “রাণীরবন্দরের ইতিহাস” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি-২০২৫) বিকেলে দিনাজপুর সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রিজেন্ট ও দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের প্রথম চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মোঃ সফিকুল আলম মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।
রাণীরবন্দরের ইতিহাস গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আলোকডিহি জান বকস্ উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত মৌলভী শিক্ষক আব্দুল খালেক মোল্লার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক বিভাগীয় প্রধান দিনাজপুর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মোঃ কাওসার আলম। নজরুল পাঠাগার ও ক্লাবের আয়োজনে চাইল্ড কেয়ার স্কুলের সার্বিক সহযোগিতায় চাইল্ড কেয়ার স্কুলের হলরুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, শিক্ষাবিদ মোঃ সফিকুল আলম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ছড়া, উপন্যাস, গল্প, কবিতা, গান , শিল্প সংস্কৃতি ও ইতিহাস গবেষণা বাঙালি জাতির রক্তে প্রবাহমান। বাঙালির প্রতিটি ধর্মীয়, সামাজিক ও অফিসিয়াল প্রোগ্রামে শিল্প সংস্কৃতি ও শিল্পকলার ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের যুগে উপন্যাস, ছড়া, গল্প, কবিতা ও ইতিহাস লেখা অসম্ভব একটি কাজ। আর সেই কঠিন কাজটি শত ব্যস্ততার মধ্যেও লুৎফর রহমান করে যাচ্ছেন, প্রায় এক যুগ ধরে গবেষণা করে রাণীরবন্দরের ইতিহাস রচনা করেছেন দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে বীরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও গবেষক ড. মাসুদুল হক রাণীরবন্দরের ইতিহাস গ্রন্থটি নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
এসময় গ্রন্থটির লেখক (৭৭ বছর বয়সী) লুৎফর রহমান বলেন, আমি যতই কাজের পাগল হই না কেন, আমার হৃদয়ে বাস করে একটি ছোট্ট কিশোর, দুরন্ত তরুণ, টগবগে যুবকের প্রতিচ্ছবি। দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি আমার অন্যরকম টান ও ভালোবাসা। যা আমাকে লিখতে সহায়তা করে আর এই গ্রন্থটি কয়েক বার কলকাতার জলপাইগুড়ি সহ অনেক যায়গায় যেতে হয়েছে তথ্য সংগ্রহ করতে বহু মানুষের সাক্ষাৎকার নিতে হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর কমিশনার (অবঃ) বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দবির উদ্দীন, সাবেক বিভাগীয় প্রধান অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মোঃ আমিনুল ইসলাম শাহ, সৈয়দপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল মান্নান সরকার, উত্তর বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মতিউর রহমান, কবি ও সংগঠক, বীরগঞ্জ উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম চৌধুরী বাবুল, সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
বিধান দত্তের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উজান ভাটি সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি হুসাইন মুহাম্মদ আনোয়ার। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নজরুল পাঠাগার ও ক্লাবের সভাপতি মোঃ রইছুল আযম, সোনালী ব্যাংক (পিলসির) বগুড়া অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোঃ রশিদুল ইসলাম, কবি ও শিক্ষক বাসব রায়, দৈনিক উত্তর বাংলার নির্বাহী সম্পাদক জিনাত রহমান, সাংবাদিক ও গবেষক সৈয়দা রুখসানা জামান সানু, সৈয়দপুর সান ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা নন্দিত ছড়াকার নুরুন নাহার সরকার, কবি নন্দিত সাহিত্য সংগঠন “কবিতার মাটি বাংলাদেশ” এর সভাপতি কবি তাইজুল মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক কবি কালিপদ রায়, সিনিয়র সহ-সভাপতি ডাঃ নিখিল সারথী শর্মা, সাংগঠনিক সম্পাদক কবি ও সাংবাদিক শেখ সাইদুল আলম সাজু, কবি ও শিক্ষক বিমল রায়, কবি ও সাংবাদিক আজহারুল আজাদ জুয়েল, কবি রইছ উদ্দীন রকি, কবি টি.এইচ বকুল, কবি ও শিক্ষক মেহেনাজ পারভীন, কবি ও শিক্ষক চঞ্চল রায়, কবি শ্রীমন রায় মৃনাল, কবি আলতাফ হোসেন, কবি ডি.এম মুজির, কবি সেকান্দার আলী শাহ, কবি মির্জা ইকবাল বেগ, কবি মাহাবুব হাসান, কবি আব্দুর রাজ্জাক, কবি অদিতি রায়, আনিসুর রহমান, কবি ও গবেষক মাহাবুবা আখতার, কবি আনারুল ইসলাম, কৈলাশ চন্দ্র রায় প্রমুখ উপস্থিত বক্তারা গ্রন্থটির উপর আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্র ও বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)’র তালিকাভূক্ত নিয়মিত সংগীত শিল্পী মোঃ ওমর ফারুকের সংগীত পরিবেশনায় অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠে।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সংগঠক, নারী নেত্রী, শিক্ষকবৃন্দ, এলাকাবাসী, সুধীজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।