স্পোর্টস ডেস্কঃ
এশিয়া কাপ শেষ হয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর। কিন্তুর এর রেশ এখনও রয়ে গেছে। বিশেষ করে ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত সূচনার পর দ্রুত উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছিল বাংলাদেশ, তখন সৌম্য সরকারের সঙ্গে পাল্টা প্রতিরোধের চেষ্টা করছিলেন ওপেনার লিটন দাস। ঠিক তখনই ১২১ রানে থাকা লিটন দাসকে বিতর্কিত আউটের সিদ্ধান্ত জানান টিভি আম্পায়ার রড টাকার। পা দাগে থাকলেও বিতর্কিতভাবে আউটের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে সমালোচনার ঝড় বইয়ে যাচ্ছে দেশে-বিদেশে। এরই জেরে নাকি এবার টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলির ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে একদল বাংলাদেশি হ্যাকার-এমনটাই দাবি ভারতীয় গণমাধ্যম মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়া কাপ ফাইনালে হারের জ্বালা এখনও মেটেনি বাংলাদেশ সমর্থকদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ চলছিল এতদিন। এবার বদলার পথে হাঁটল একদল বাংলাদেশি ক্রিকেট সমর্থক। সিএসআই বাংলাদেশ নামের একটি বাংলাদেশি হ্যাকিং গ্রুপ হ্যাক করল খোদ ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির ওয়েবসাইট।
এতে আরও বলা হয়, এশিয়া কাপের ফাইনালে লিটন দাসের বিতর্কিত আউটের বদলা হিসেবে বিরাটের ওয়েবসাইট হ্যাক করল বাংলাদেশি হ্যাকাররা। শুধু হ্যাক করা নয়, বিসিসিআই এবং আইসিসির উদ্দেশ্যে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয়েছে। সাইট হ্যাক করে হ্যাকাররা লিখেছে, আইসিসি যদি গোটা বিশ্বের কাছে ক্ষমা না চায় এবং যে আম্পায়ার লিটন দাসের আউট দিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে যতবারই বিরাটের ওয়েবসাইট রিকভার করার চেষ্টা করা হোক ততবারই হ্যাক করবে তারা।
ভারতীয় গণমাধ্যমটি বলছে, ফাইনালে লিটন দাসের বিতর্কিত আউটের পর থেকেই উত্তাল বাংলাদেশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় বলাবলি হচ্ছে, ভারতের বিরুদ্ধে খেলা পড়লেই তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হচ্ছে। কেন তাদের এই অবিচারের স্বীকার হতে হবে? তিন বছর আগে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালেও ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে রোহিত শর্মার ন্যায্য আউট দেননি আম্পায়ার, এবারেও লিটনকে ভুলভাবে আউট দেওয়া হল বলেই অভিযোগ করছেন বাংলাদেশি ক্রিকেট সমর্থকরা। ফাইনালের পর চারদিন কেটে গেলেও তাদের হতাশা যে এক্কেবারে কমেনি তা বোঝা গেল।
সবশেষে বলা হয়, বিরাটের ওয়েবসাইটটি হ্যাক করেছে বাংলাদেশের হ্যাকার গ্রুপ সিএসআই(সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ইন্টলিজেন্স)। সাইটটি হ্যাক করার পর সেখানে লিখে দেওয়া, “ক্রিকেট কী ভদ্রলোকের খেলা নয়? প্রত্যেক টিমের কি সমান অধিকার নেই? ওটা কী করে আউট হয়, সেটা বলা হোক, আপনারা যদি প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান, আম্পায়ারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না গ্রহণ করেন তাহলে যতবারই রিকভারি করা হোক, ততবারই হ্যাক হবে ওয়েবসাইট।”