আজ অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা ছিলো। আমাদের দিনাজপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে শহরের এবং শহরের বাইরের বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষার্থীরা এসে পরীক্ষা দিচ্ছে।
ব্যক্তিগত কাজে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম আমিও। পরীক্ষা শেষে বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থীসহ একসাথে কলেজের পশ্চিম গেট দিয়ে বের হচ্ছিলাম। এমন সময়ে অজয় হল ছাত্রাবাসের আগেই কলেজ ক্যাম্পাসের রাস্তায় বসে দুইজন ব্যক্তি গাঁজা সেবন করছিলেন। একজন তো গোঁফে তা দিতে দিতে রাজসিক কায়দায় গাঁজা সেবন করছিলেন আর ধোঁয়া ছাড়ছিলেন রাস্তার দিকে।
খুবই বিশ্রী এক অবস্থা, গন্ধে বমি আসতেছিলো। খেয়াল করলাম অজয় হলের বেশ কয়েকজন ছাত্র হলের বারান্দা থেকে এই দৃশ্য দেখছে, যেন তাদের কাছে এটা প্রতিদিনের দৃশ্য! আমাদের কলেজে যাদের পরীক্ষা সবাই অন্য কলেজের শিক্ষার্থী। তারা একেকজন দুয়ো দিতে দিতে বলছিলো, “ছি! ভাইয়া আপনাদের কলেজে এভাবে প্রকাশে গাঞ্জা খাচ্ছে! কেমন কলেজ, ওয়াক..”
মনে হলো সে যেন আমার কলেজ বলে আমার গায়ে ঠিকই বমি করে দিলো ? খুব অপমানবোধ হলো। অথচ এর আগেও আরো বেশ কয়েকদিন আমি ব্যাপারটা খেয়াল করেছি, এড়িয়ে গেছি। আজ যখন ঐ পরীক্ষার্থী চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো, তখন আর চুপ থাকতে পারলাম না।
সোচ্চার দাবি জানাচ্ছি এই ধরনের প্রকাশ্য মাদক সেবন বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য কলেজ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন এবং মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার দিনাজপুর পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অন্তত কলেজ টাইমে এভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে বহিরাগতদের মাদক সেবন বন্ধ করুন,প্লিজ।
মুখে বুলি আউড়াচ্ছি, মাদক সেবন করবো না। মাদকমুক্ত দিনাজপুর গড়বো।
কিন্তু বাস্তবে তাদের দেখেও এড়িয়ে যাবো, এটা তো হতে পারে না।
#তাইফুর রহমান