স্পোর্টস ডেস্কঃ
বল পায়ে তিনি কীই-বা না করতে পারেন! অনায়াসে দুমড়েমুচড়ে ফেলেন প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ। গোলের পর গোল করে গাঁথেন মালা। অবিশ্বাস্য পাসে সতীর্থদের দিয়েও করিয়ে থাকেন দুর্দান্ত সব গোল। সবকিছু মিলিয়ে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডাররা তাঁর নামে এক ঘাটে পানি খায়। এই তো লিওনেল মেসির পরিচয়। আরও একটা পরিসংখ্যান আছে আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকরের পাশে, এখন পর্যন্ত জিতেছেন পাঁচটি ব্যালন ডি’অর।
ফুটবল মাঠে প্রতিপক্ষের জন্য আতঙ্ক ছড়ানো এই মেসির মনেও ভয় আছে। এটা আর যা তা কোনো বিষয় নয়, ভয়ের কারণ তাঁর বউ। ভণিতা না করে বলা যায়, বউয়ের সঙ্গে শপিংয়ে যেতে ভয় পান মেসি। এর অর্থ এই নয়, বাজার থেকে কোনো কিছুর কেনার প্রয়োজন হয় না বার্সেলোনা তারকার। ব্যক্তিগত ও পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী সবকিছুই কেনা হয়। কিন্তু তা সশরীরে বাজারে গিয়ে নয়, অনলাইনে, ‘আমি জামাকাপড় কিনতে পছন্দ করি। কিন্তু বাজারে গিয়ে নয়। কেনাকাটা করা হয় অনলাইনে; যা আমাকে বাইরে যেতে নিরুৎসাহিত করে। আসলে আমি যখন আন্তোনেল্লার (মেসির স্ত্রী) সঙ্গে বাইরে যায়, অসহায় বোধ করি।’ বোঝেনই তো মেসি বাজারে গেলে তাঁকে কেন্দ্র করে পরিবেশটা কেমন হতে পারে!
এর অর্থ এই নয় যে মেসি একেবারেই বাইরে চলাফেরা করেন না। তিনিও রক্তমাংসের গড়া মানুষ। কিন্তু যত দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করে ফিরতে পারলেই যেন তিনি হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন, ‘যখন আমি কেনাকাটা বা হাঁটার জন্য বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করি, সব সময় দ্রততার সঙ্গে যায়। কোথাও থামি না। গিয়ে কাজটা শেষ করে দ্রত ফিরে আসি। কিন্তু আন্তোনেল্লা বা বাচ্চাদের সঙ্গে গেলে তা করা যাই না।’