মার্চের আগে মুক্তির আশা নেই ‘পদ্মাবতী’র!

‘পদ্মাবতী’ ছবিটি কি আদৌ মুক্তি পাবে? হ্যাঁ, ছবি নিয়ে বিতর্ক এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, এই প্রশ্ন স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে। বিনোদনের দুনিয়ায় সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলির মধ্যে এ বছরের অন্যতম সেরা ‘পদ্মাবতী’। দীপিকা পাড়ুকোন-রণবীর সিংহ এবং শাহিদ কপূর অভিনীত এই ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ১ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজপুত করণী সেনার আপত্তি এবং দেশজুড়ে বিতর্কের জেরে পিছিয়ে গিয়েছে মুক্তি। এমনকী কবে এই ছবির মুক্তি হবে তাও এখনও নিশ্চিত নয়।

সঞ্জয় লীলা ভংসালীর এই ছবি মুক্তির জন্য সিবিএফসি-ও (সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন) এখনও ছাড়পত্র দেয়নি। ছবির শুটিং পর্ব থেকেই আপত্তি তুলেছিল রাজপুত করণী সেনারা। অভিযোগ, এই ছবিতে রাজপুতদের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে।পরিচালককে মারধর, দীপিকার মাথার দাম ঘোষণা, পোস্টার পোড়ানো থেকে শুরু করে তীব্র আন্দোলনে নামে করণী সেনারা। ইন্ডিয়া টাইমসের খবর অনুযায়ী,এত বিতর্কের পর এ বার ইতিহাসবিদদের সাহায্য নিতে চায় সিবিএফসি। বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল তৈরি করে ‘পদ্মাবতী’ ছবিটি তাঁদের দেখানো হতে পারে।

বোর্ডসূত্রে দাবি করা হয়েছে,ছবির বিষয় খুঁটিয়ে দেখবেন ইতিহাসবিদরা। এর পরই ছবির ছাড়পত্র নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে। ডিসেম্বর প্রায় শেষ। সেক্ষেত্রে জানুয়ারির আগে এই কাজ হবে না। পাশাপাশি, পদ্মাবতীর আগে আরও চল্লিশটি ছবি রয়েছে ছাড়পত্রের আশায়। ইন্ডিয়া টাইমসের খবর অনুযায়ী, সেন্সর বোর্ডের ওই সূত্রের দাবি, ছবির নির্মাতারাই বিষয়টিকে জটিল করে তুলেছেন। কারণ তাঁরা প্রথম থেকেই বলে এসেছিলেন ছবিটি আংশিক ভাবে ইতিহাস নির্ভর।

ফলে ছবিতে কতটা ইতিহাস রয়েছে এবং তা কোথাও অতিরঞ্জিত বা বিকৃত হয়েছে কিনা তাই-ই খতিয়ে দেখবেন প্যানেলভুক্ত ইতিহাসবিদরা। ইন্ডিয়া টাইমসের খবর অনুযায়ী, বোর্ডের ওই সূত্রেরই দাবি, ‘জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের আগে পদ্মাবতীর ছাড়পত্র পাওয়ার কোনও আশা নেই। সেক্ষেত্রে ছবি মুক্তি পেতে পেতে মার্চ বা এপ্রিলও হয়ে যেতে পারে।’

সূত্র: আনন্দবাজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *