মাসখানেক আগের সন্ধে…
‘‘সেলেব্রিটি তকমা থাকলেও আসলে তো আমরা সাধারণ মানুষ। তাই আমরাও সম্পর্কগুলো ঘেঁটে ফেলি। ভেঙে যায়। আবার সবার মতো জোড়াও লাগে।’’ নিজের অফিসে বসে কথাগুলো বলেছিলেন রাজ চক্রবর্তী।
রাজ এবং শুভশ্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বারবার খবর হয়েছে। রটনা রটেছে। তবে এ বার আর রটনা নয়। সবটাই স্পষ্ট। সম্পর্কের ভাঙা কোণগুলো তাঁরা দু’জনেই মসৃণ করে নিয়েছেন। সেই মসৃণ পথে হেঁটেই মঙ্গলবার রাতে এনগেজড হলেন দু্’জনে। রাজ চক্রবর্তী এবং শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। বিয়ে ১১ মে। বাওয়ালি রাজবাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা।
রাজ যখন কথাগুলো বলেছিলেন, তখনও ঠিক ছিল না, মার্চের এক সন্ধেয় তাঁরা আংটি বদল করবেন। অবশ্য রাজ-শুভশ্রীর এনগেজমেন্ট খানিকটা তাড়াহুড়ো করেই হল। গত বার বিয়ের দিন স্থির হয়েও শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায়। তাই এ বার দু’জনেই আর ঝুঁকি নিতে চাননি। নিজেদের সম্পর্কে অনুপ্রবেশ ঘটতে দেননি তৃতীয় কারও। মঙ্গলবার রাজের আনন্দপুরের ফ্ল্যাটে দু’জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেন। রেজিস্ট্রিও এ দিনই হয়। রাজ-শুভশ্রীর পরিবার এবং ঘনিষ্ঠদের নিয়ে একটা গেট টুগেদারও হয়। অতিথিদের স্পষ্ট করে বলা হয়নি ঠিক কী কারণে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শুধু ফোন করে বলা হয়, সন্ধেবেলা চলে আসতে। সকলে মিলে খাওয়াদাওয়া হবে।
ইন্ডাস্ট্রি থেকেও কাউকে সে ভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। রুদ্রনীল ঘোষ, প্রযোজক শ্যামসুন্দর দে, নীল রায়… যাঁরা একান্তই রাজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, সে রকম কয়েক জন ছাড়া। অনুষ্ঠানপর্ব মিটে গেলে টুইট করে নিজেদের আংটিবদলের খবর জানান রাজ-শুভশ্রী।
বাগদানের সঙ্গে জোরকদমে চলছে বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও। কোথায় হবে, কী হবে সেই পরিকল্পনায় ব্যস্ত দুই পরিবার। ঘনিষ্ঠদের মতে, দু’জনের মধ্যে শুভশ্রীই বেশি উত্তেজিত। এনগেজমেন্টের আংটিও নিজেই পছন্দ করে কিনেছেন। বিয়ের পর রাজের পরিবারের সঙ্গেই থাকতে চান শুভশ্রী। দু’জনের এক ঘনিষ্ঠের কথায়, ‘‘শুভশ্রী আসলে গুছিয়ে সংসার করতে চায়। বিয়ের পর রাজের পরিবারের সকলের সঙ্গেই থাকবে ও।’’
রাজের সঙ্গে সম্পর্কের শুরুতেই শুভশ্রী স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, বিয়ের চিন্তাভাবনা করলেই তিনি সম্পর্ক নিয়ে এগোবেন। রাজও কথা রেখেছেন। সম্পর্কে জটিলতা এলেও মিটমাট করে নিয়েছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে রাজ নিজেই এক বার বলেছিলেন, ‘‘আমাদের সম্পর্ক নিয়ে বাইরের লোকজন এত কথা বলতে লাগল, নাক গলাতে লাগল যে, ব্যাপারটা কী রকম জট পাকিয়ে গেল।’’ সেই জট কাটাতেই গত অক্টোবরে গোয়া গিয়েছিলেন দু’জন। বিয়ে আর রিসেপশন কোথায় হবে, তা এখনও স্থির হয়নি। তবে বাগদান-পর্বে গোপনীয়তা রাখলেও বিয়ে সকলকে জানিয়েই করবেন। আসলে সম্পর্কের গাঁটছড়াটা এ বার বেশ মজবুত করেই বেঁধেছেন রাজ-শুভশ্রী।