বীরগঞ্জ নিউজ২৪ ডেস্কঃ
আলোচিত মাদক বিরোধী বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রামে আওতায় অনেক দিন পর এক সাথে পাঁচ জন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে। প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকা, কক্সবাজার ও পাবনায় বন্দুকযুদ্ধে পাঁচজন নিহত হয়েছেছেন বলে দাবি করছে পুলিশ।
সোমবার মধ্যরাতে র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে এসব ঘটনা ঘটে। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে ডেস্ক রিপোর্ট-
ঢাকা : রাজধানীর রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সোমবার দিনগত রাত তিনটার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের উপ-পরিচালক মেজর রইসুল আজম এ খবর নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
উখিয়া (কক্সবাজার) : কক্সবাজারের উখিয়ায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ার মখাধ্রুলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা, দুটি ওয়ান সুটারগান ও ৮ রাউন্ড গুলির খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা হলেন- যশোর জেলার অভয়নগর এলাকার শ্রীধরপুর বরনীবাজার গ্রামের নাজমুল সরকারের ছেলে মো. আবু হানিফ (৩০) ও চট্রগ্রাম সীতাকুণ্ড দক্ষিণ ছলিমপুর গ্রামের মো. শাহ আলমের ছেলে মো. আব্দুস সামাদ (২৮)।
কক্সবাজার র্যাব ৭ এর কোম্পানি কমান্ডার মেহেদী হাসান জানান, মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের মরিচ্যা ধ্রুমখালী এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছিল। এ সময় টেকনাফ থেকে আসা দ্রুতগামী একটি মিনি ট্রাককে থামাতে সিগন্যাল দিলে ট্রাক থেকে গুলি বর্ষণ করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। র্যাব পেছন থেকে ধাওয়া করে গুলি বর্ষণ করে। পরে ট্রাক থেকে গুলিবিদ্ধ দুইজনকে উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
সাঁথিয়া (পাবনা) : পাবনার সাঁথিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক চরমপন্থী দলের নেতা নিহত হয়েছে। সোমবার দিবাগত গত রাত ২টার দিকে আতাইকুলা থানার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের কৈজুরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কোরবান আলী আটঘোড়িয়া থানার যাত্রাপুর গ্রামের কিয়ামুদ্দিনের (আবু)। তিনি চরমপন্থী (নকশাল) দলের আঞ্চলিক নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ হাফডজন মামলা রয়েছে।
আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা জানান, সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে থানার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের কৈজুরী গ্রামের শ্মশানের পাশের একটি কাঁঠাল বাগানে একদল সন্ত্রাসী গোপন মিটিং করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালালে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে আহতাবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে পাবনা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভালবার, চার রাউন্ড তাজা গুলি ও ২টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধে আতাইকুলা থানার এএসআই ফারুক, এএসআই মন্টু, কনস্টেবল শাহিন ও রউফ আহত হন।